শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বালু গোদাগাড়ীতে মজুত করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের দৌঁড়-ঝাঁপ গোদাগাড়ীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান কর্তন রাজশাহীতে বালু মজুদ করতে ১০ একর জমির কাঁচা ধান সাবাড় বিশ্বের দীর্ঘতম গাড়িতে রয়েছে সুইমিং পুল, হেলিপ্যাডও ছুটির দিনে হেঁশেলে খুব বেশি সময় কাটাতে চান না? রবিবারে পেটপুজো হোক তেহারি দিয়েই দাম দিয়ে ছেঁড়া, রংচটা জিন্‌স কিনবেন কেন? উপায় জানা থাকলে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন উন্মুক্ত বক্ষখাঁজ, খোলামেলা পিঠ, ভূমির মতো ব্লাউজ় পরেই ভিড়ের মাঝে নজরে আসতে পারেন আপনিও স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য বাড়িতেই স্ক্রাব তৈরি করে ফেলতে পারেন, কিন্তু কতটা চালের গুঁড়ো দেবেন? গরমে শরীর তো ঠান্ডা করবেই সঙ্গে ত্বকেরও যত্ন নেবে বেলের পানা, কী ভাবে বানাবেন? গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!
শিক্ষা বোর্ডে টেন্ডারবিহীন কাগজ বিক্রি, সংবাদের জেড়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশাদিকারে বাঁ

শিক্ষা বোর্ডে টেন্ডারবিহীন কাগজ বিক্রি, সংবাদের জেড়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশাদিকারে বাঁ

শিক্ষা বোর্ডে টেন্ডারবিহীন কাগজ বিক্রি, সংবাদের জেড়ে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশাদিকারে বাঁ

নিজস্ব প্রতিবেদক : গত ২৩ আগস্ট রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঁচ বছর ধরে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এবিএম খোরশেদ আলম। ঐদিন গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময়কালে তিনি বলেছিলেন, মিডিয়াকে দুরে রেখে কোন কাজ সম্পন্ন করা যাবে না। স্বাস্থ্যের ডিজি আরো বলেন, দেশের মিডিংয়া অনেক শক্তিশালী মাধ্যম। সাংবাদিকরা সরকার ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড তুলে না ধরলে জনগণ জানবে কিভাবে। তিনি হাসপাতালের পরিচালককে মিডিয়ার সঙ্গে থাকা ও সহোযোগিতা করার অনুরোধ করেন।

অথচ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী’র ভান্ডার শাখাতে মজুদ থাকা পুরাতন কাগজ বিনা টেন্ডারে একটি প্রতিষ্ঠানের কাছে বর্তমান বাজার দরের অর্ধেক মূল্যে বিক্রি করার বিষয়টি একটি দৈনিক পতিকায় প্রতিবেদন আকারে প্রকাশিত হবার একদিন পরেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কিছু কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে শিক্ষা বোর্ডের ভেতরে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশাধীকার সংরক্ষিত করার নিয়ম চালু করা হয়।

গতকাল সোমবার আনুমানিক বেলা ১২ টা নাগাদ স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক আমাদের রাজশাহী, সোনালী সংবাদ ও গণধ্বণী প্রতিদিনের ফটো সাংবাদিক এবং পরবর্তীতে মোহনা টিভি’র দায়িত্বে থাকা সিনিয়র সাংবাদিক মেহেদী হাসানসহ মোটর বাইকে প্রেস স্টিকার লাগানো সকলকেই প্রধান ফটকে দায়িত্বে থাকা সিকিউরিটিরা গণমাধ্যম কর্মীদের ভেতরে যেতে বাঁধা প্রদান করেন। দায়িত্বরত আনসার কর্তৃক বাঁধাপ্রাপ্ত গণমাধ্যম কর্মীরা নিজের কর্মস্থলের পরিচয় দেওয়া ছাড়াও শিক্ষা বোর্ডে কি কাজে কার কাছে এসেছেন বলার পরেও তারা গণমাধ্যম কর্মীদের প্রবেশ করতে না দিয়ে উপরন্তু জানান, শিক্ষা বোর্ড থেকে নিষেধ করা হয়েছে কোনো সাংবাদিককে প্রবেশ করতে না দেবার জন্য ! কোনো উপায়ন্তর না দেখে দৈনিক সোনালী সংবাদে কর্মরত রেজা, দৈনিক আমাদের রাজশাহী পত্রিকার রানা ও গণধ্বনি প্রতিদিনের ফটো সাংবাদিক কাবিল শিক্ষা বোর্ডের গণ সংযোগ কর্মকর্তা শামীমা আক্তআর নাইসকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে তিনি কর্তব্যরত সিকিউরিটিদেরকে গণমাদ্যম কর্মীদের প্রবেশে বাঁধা না দেবার জন্য বলেন।

বিষয়টি সম্পর্কে গণ সংযোগ কর্মকর্তা বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের শিক্ষা বোর্ডে প্রবেশাধীকারের ক্ষেত্রে কোন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বলে আমার জানানেই। কারণ, এমন কোনো সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিয়ে থাকলে সেটি আমার কাছে চিঠি আকারে আসতো। কিংবা আমাতেক মৌক্ষিভাবে অবগত করা হতো। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা বোর্ড সচিব ড. মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এককবার একাকরকম কথা বলেন। বিষয়টি নিয়ে কর্মচারি ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাববুব আলীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের শিক্ষা বোর্ডে প্রবেশের ক্ষেত্রে বাঁধা প্রদানের মতো ঘটনা এই প্রথম। বিষয়টি ঠিক হয়নি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে, শিক্ষা বোর্ডে কর্মরতরা সহ প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারগণ জানান, টেন্ডারবিহীন পুরাতন কাগজ অর্ধেক দামে কর্ণফুলি পেপারস মিলের নামে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে সরবরাহকে কেন্দ্র করে রাজশাহীর একটি পাঠকনন্দিত পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়া এবং স্থানীয় ঠিকাদার কর্তৃক বাঁধা প্রদানের সঈকার হবার প্রেক্ষিতে এই ধরনের সিদ্ধান নেয়া হয়েছে। স্থানীয় ঠিকাদার ও কর্মরতদের অনেকেই বলেন, শিক্ষা বোর্ডের পুরাতন কাগজ ও অন্যান্য মালামাল বিক্রয়ের ক্ষেত্রে প্রতিবারই প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকান্ডের ইতিহাস আছে।

এর পূর্ববর্তী সময়গুলোতেও টেন্ডার নিয়ে অস্বচ্ছতা, অনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে ঢাকাস্থ ঠিকদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ৮০ টন অতিরিক্ত কাগজ অলিখিত ভাবে দিয়ে দেবার মতো অপচেষ্টায় সর্বশেষে বিষয়টি দরা পরার মতো ঘটনাও ঘটেছে বেশ কয়েকবার। যার কারনেই পূর্ববর্তী ও বতমান সময়ে গণমাধ্যম কর্মী ও স্থানীয় ঠিকাদারদের চোঁখ আড়াল করে টেন্ডার সংক্রান্ত কার্যকলাপ চলাকালীন সময়ে শিক্ষা বোর্ডে শুধু গণমাধ্যম কর্মীরাই নয় স্থানীয় ঠিকাদারদের পবেশাধীকারের বিষয়টিকে অনৈতিক ভাবে বাঁধাগ্রস্থ করার চেষ্টা চলছে বলে মন্তব্য অনেকের।

মতিহার বার্তা ডট কম- ২৫-০৮-২০২০

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply